সিলেটে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালিত
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেছেন, সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির কারণে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে কৃষির উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই টেকসই কৃষি উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সীমিত মৃত্তিকা সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনার বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সিলেট জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, সিলেট ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি র্যালি বের হয়ে নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট সিলেটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. এনায়েৎ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সালেহ আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সিলেটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুল, বিএডিসি সিলেটের যুগ্ম পরিচালক সুপ্রিয় পাল, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিয়া, বিএডিসি সিলেটের উপপরিচালক মো. খোরশেদ আলম ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের অতিরিক্ত উপপরিচালক তামান্না নাহার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সিলেটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুল বলেন, দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ ভূমির উর্বরতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর আশংকাজনকভাবে নীচে নেমে গেছে। এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে এটা ভয়াবহ রূপ নেবে।
মূল প্রবন্ধে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট সিলেটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. এনায়েৎ উল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালে দেশে চাষযোগ্য জমি ছিলো ১ কোটি ১৭ লাখ হেক্টর। তখন খাদ্য উৎপাদন হতো ১ কোটি ১০ লাখ টন। বর্তমানে চাষযোগ্য জমি আছে ৮৮ লাখ ২৯ হাজার হেক্টর। কিন্তু খাদ্য উৎপাদন হয় ৩ কোটি ৬৬ লাখ টন। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের তুলনায় বর্তমানে চাষযোগ্য জমি কমেছে এক-তৃতীয়াংশ। কিন্তু বিপরীতে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে তিন গুণের বেশি।
তিনি আরও বলেন, সিলেট অঞ্চলের বেশিরভাগ মাটি অধিক অম্লীয় এবং মাটিতে ফসফরাস ও পটাশের প্রচুর ঘাটতি রয়েছে। জমিতে পরিমিত পটাশ ও ফসফেটিক সার প্রয়োগের পাশাপাশি ফসলের অবশিষ্টাংশ এবং চুনসহ জৈব সার প্রয়োগ করা জরুরি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস