‘মাটি পরীক্ষা করে সুষম সার প্রয়োগ করুন, অধিক ফসল ঘরে তুলুন’ স্লোগানকে সামনে রেখে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট সারাদেশে ১০টি ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষাগারের খরিপ ২০২৫ কৃষক সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে। কৃষক পর্যায়ে উদ্বুদ্ধকরনের অংশ হিসেবে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, বিভাগীয় গবেষণাগার সিলেটের আয়োজনে এবং সুনামগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার (এমএসটিএল) "সুরমা" কর্তৃক কৃষকের ফসলি জমির মাটি পরীক্ষার ভিত্তিতে তৈরিকৃত সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ, কার্ড ব্যবহারের নির্দেশনা শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসসার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব সালেহ আহমদ এবং জনাব এস. কে. এম. গোলাম সাকলাইন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, বিভাগীয় গবেষণাগার, সিলেট এবং সভাপতিত্ব করেন টিম সুরমার দলনেতা বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব মো. খায়রুল ইসলাম বাশার।
বক্তারা মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাটি পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা, মাটির প্রাণ জৈব সারের পর্যাপ্ত ব্যবহার বৃদ্ধি, রাসায়নিক সারের যথেচ্ছা ব্যবহার হ্রাস এবং সুষম সার ব্যবহারের উপর গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সার সুপারিশ কার্ড কিভাবে ব্যবহার করবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন কৃষকের দোরগোড়ায় মৃত্তিকার সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে চলমান এই কর্মসূচিকে কৃষাণ কৃষাণী, উদ্যোক্তারা স্বাগত জানান এবং অন্যান্য কৃষকদেরকেও তারা মাটি পরীক্ষা করে সার দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিবেন বলে আশ্বস্থ করেন। মাটি পরীক্ষা করে সার দিলে সারের অপচয় রোধ হয়, ফলন ১৫-২০% বৃদ্ধি পায়, জমির স্বাস্থ্য ভালো থাকে, পরিবেশও ভালো থাকে, মাটি দূষণ, পানি দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কৃষক পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি করতে MSTL সুরমা খরিপ মৌসুমের কার্যক্রম সিলেট বিভাগের ৪ টি উপজেলায় চলবে। মাত্র ২৫ টাকার বিনিময়ে মাটি পরীক্ষার এই সুবর্ণ সুযোগ পাচ্ছেন চাষীরা যার প্রকৃত খরচ ৪৪০ টাকা যা সরকার ভর্তুকি দিচ্ছেন। অল্প সময়ে ভ্রাম্যমাণ ল্যাবে মাটি পরীক্ষার সুযোগ পেয়ে চাষীরা আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস